
সোহেল রানা তালতলী প্রতিনিধি :
বরগুনার তালতলীতে মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইটের সলিং কাজের ব্যাপক অনিয়ম এর অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে, ঐ প্রতিষ্ঠান এডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে( e-Tender/ADP/TAL/2023-24/05) এই প্যকেজ নম্বরে তালতলী উপজেলার বড়োবগী ইউনিয়নে মোট ১৫ টি কজ পয়।যারমধ্যে রয়েছে ইটের সলিং,মসজিদ সংস্থার ও গভীর নলকূপ স্থাপন। যার চুক্তি মুল্য ১৯,৭৮,৬৬৮.৫৫ টাকা।
গত ২২ জুন বড়বগীর ১ নং ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়ায়, নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ সুরু করলে স্থানীয়রা দেখে ইউপিসদস্য নজরুল ইসলাম লিটুকে জানান। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়ায় তালতলী এলজিইডি প্রকৌশলীকে অবগত করেন। উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মিস্টার হরশিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিম্নমানের ইট দেখে ঠিকাদারকে সেগুলো ফেরত নিয়ে ভালো মানের ইট দিয়ে কাজ করতে বলেন। ঠিকাদার ঐ সময় কিছু ভালো ইট আনলেও পুনরায় নিম্নমানের ইটদিয়ে কাজ চালিয়েযায়। এছাড়া সলিং ইটের নিচে ৬ ইনচি বালু দেয়ার কথা থাকলেও ১ ইনচিও দেয়া হয়নি। পুনরায় এমন নিম্নমানের কাজ করতে দেখে ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম লিটু কাজ বন্ধ করে দেন এবং নিম্নমানের ইট সরিয়ে ভালোমানের ইট দিতে বলেন।
এমতাবস্থায় ঠিকাদার ঐ কাজ বন্ধ করে সদাগরপাড়া গিয়ে অন্য একটি সড়কের কাজ সুরু করেন। সেখানে ইটের মান কিছুটা ভালো হলেও রাস্তা প্রস্তুত ও বালু ব্যাবহারে ব্যাপক অনিয়ম করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
সদাগারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছোরাপ মাদবর বলেন, রাস্তার নিচে কলা গাছ ও সিম গাছের ঝোপ দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। তার উপরে নামে মাত্র বালু দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্ষা এলে এই রাস্তায় আবারো দুর্ভোগ নেমে আসবে।
ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম লিটু বলেন, নিম্নমানের ইট ও বালুর পরিমানে গরমিল পাওয়ায় উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তারা এসে বারণ করা সত্ত্বেও ঠিকাদার ঐ নিম্নমানের ইট দিয়েই কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে তাই আমি কাজে বাধা দিলে এভাবে ফেলে রেখেই অন্য সড়কের কাজ ধরে। আর সেখানেও ব্যাপক অনিয়মের সংবাদ পেয়েছি।
এবিষয়ে নূর এন্টারপ্রাইজের ওই ঠিকাদারকে মুঠোফোন বারবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রকৌষলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন,অনিয়মের বিষয়টি আমি অবগত হয়ে ঠিকাদারকে বারণ করেছি। নিম্নমানের ইট দিয়ে কোন ধরনের কাজ করা যাবে না। বারণ করার পরেও যদি কাজ করে থাকে তাহলে ওই কাজের বিল দেয়া হবে না।