
।
ফয়সাল আহমেদ রাজবাড়ী।
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার ও চন্দ্রবোড়া উপদ্রব বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে সাপটির দংশনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ থেকে ৫ জন কৃষক। বর্তমানে এমন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা মাঠে যেতেও ভয় পাচ্ছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার মজলিসপুর চরে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে রাসেলস ভাইপারের কামরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাহিরচর দৌলতদিয়া এলাকার বাসিন্দা মালেকা বেগম। পড়ে তাকে দ্রুত গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তারা আরও জানান, এর আগে গত সপ্তাহে চর মজলিসপুর ও চর মহিদাপুরে কৃষক শুকুর শেখ, সাগর শেখ ও আসলাম মিয়াকে দংশন করেছে রাসেলস ভাইপার, যা স্থানীয়দের ভাষায় চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাপের আতংকে চরাঞ্চলে কাজ করা কষ্টকর হয়ে গেছে।যেমন, উজানচর ইউনিয়নের চর মজলিশপুর, চর মহিদাপুর, দেবীপুর; দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চর করনেশনা, আংকের শেখের পাড়াসহ চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি এলাকায় সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।
তারা বলেন, মাঠ ভরা পাকা ফসল থাকলেও সাপের ভয়ে মাঠে যেতে ভয় পাচ্ছেন। বাম্পার ফসল উৎপাদনকারী এইসব চরাঞ্চলে কৃষি কাজ ব্যহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। যারাও মাঠে যাচ্ছে সব সময় মনে করছে এই বুঝি সাপ এসে কামরে দিয়ে গেলো। পুরো এলাকায় এখন সাপের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান জানান, উপজেলার নতুন আতঙ্কের নাম রাসেলস ভাইপার ‘সাপ’। তাই সাপ থেকে বাঁচতে স্থানীয় কৃষি ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও কৃষকদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো হবে।